এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘গৃহযুদ্ধের পূর্ববর্তী মুহূর্তে একটা ‘সামাল দেয়া’ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান। কিন্তু এ যুদ্ধ তো হবেই কোন না কোন ফর্মেটে।‘ রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ‘গণ-অভ্যুত্থানের শতদিন পরে’- শিরোনামে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘পুরানো বন্দোবস্তের প্রতি দাসখত লিখে দেয়া লোকেরা আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে। এ দল, ঐ দল এখানে মুখ্য নয়। মুখ্য হল পুরাতন প্রজন্ম ও বন্দোবস্ত। ছাত্র-তরুণদের জন্য একটি সুযোগ এসেছে। প্রতিটি প্রজন্মের কাছেই এরকম একটি সুযোগ আসে। '৯০ এর ছাত্র-তরুণ খরচ হয়ে গেছে আগেজার প্রজন্মের ধূর্তামির কাছে।’
মাহফুজ লেখেন, ‘আবারো সে ধূর্ত পুরাতনপন্থীরা ছাত্র-তরুণদের মধ্যে যে বিভেদ ও অনাস্থা তৈরি করছেন, সে সম্বন্ধে ছাত্র-তরুণেরা সতর্ক না থাকলে তারা প্রজন্ম আকারে হত্যা*যোগ্য হয়ে উঠবেন। কারণ, '৯০ এত রক্তাক্ত এবং কনফ্রন্টেশনাল ছিল না।’
তিনি আরও লিখেছেন, এখানে প্রায় অর্ধলক্ষ আহত, মানে মাঠের লড়াকু আছেন। দু'হাজার বা ততোর্ধ্ব শহিদ আছেন। গৃহযুদ্ধের পূর্ববর্তী মুহূর্তে একটা 'সামাল দেয়া' প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান। কিন্তু এ যুদ্ধ তো হবেই কোন না কোন ফরম্যাটে।
‘পুরাতন ও নূতনের এ রক্তাক্ত দ্বন্ধে রণনীতি ও প্রধান দ্বন্ধ বুঝে নেয়া জরুরি। খুবই জরুরি। মৃত্যু আমাদের ছুঁয়ে গেছে, আমরা জ্যান্তেমরা হয়ে গেছি। আমাদের শহিদ হয়ে যাওয়া ভাই বোনের সাক্ষ্যকে নিরন্তর পুনরাবৃত্তি করে যেতেই হবে। ক্লান্ত হইয়েন না, জড়ো হোন, ঘন হয়ে বসুন।’